ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পশ্চিম রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৯ মে) পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী-ঢাকা রুটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তিনটি টিকিট সংগ্রহ করেন। এ সব টিকিট কালোবাজারে বেশি দামে কেনা বলে যাত্রীরা জিএমকে জানান।

এই টিকিট কে সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করেছেন তা জানতেই রোববার (৮ মে) জিএম অসীম কুমার তালুকদার অফিস আদেশে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহ্বায়ক পশ্চিম রেলের ডেপুটি চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুণ্ডু। কমিটির সদস্য জেলা সংকেত প্রকৌশলী (ডিএসই সদর) আহমেদ ইসতিয়াক জহুর।

জিএম অসীম কুমার তালুকদার এ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে তিনি জানতে পারবেন কে টিকিট কেটেছিলেন। এরপর ব্যবস্থা নেবেন। টিকিট কালোবাজারি চক্রকে শনাক্ত করতেই এই তদন্ত কমিটি বলে জানান তিনি।

জিএম অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘‘ভ্রমণের আগের দিন এক ব্যক্তি ফেসবুকে টিকিটের ছবি দিয়ে জানান— তিনগুণ বেশি দামে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তিনি ভেবেছেন এই টিকিটের উৎস খুঁজলেই কালোবাজারি চক্রকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তাই সেদিন আমি নিজে ট্রেনে গিয়ে ওই যাত্রীদের কাছ থেকে তিনটি টিকিট সংগ্রহ করি। এখন টিকিট কাটতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। রেলের নতুন স্লোগান হলো- ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’। অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্রে কেনা টিকিটে ভ্রমণ করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।’’

অসীম কুমার তালুকদার জানান, তদন্ত কমিটি দেখবে কার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ওই তিনটি টিকিট কাটা হয়েছিল। তাহলে জানা যাবে কে টিকিট সংগ্রহ করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এই চক্রে রেলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি তিনি রেলের কেউ না হন তাহলে তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে।